Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

পরাধীন বাংলায় বৃটিশ আমলে ১৮২১ সালে রাজশাহী জেলার ৪টি, রংপুর জেলার ২টি ও দিনাজপুর জেলার ৩টি থানা নিয়ে যে বগুড়া জেলা গঠিত হয় তারই অংশ বিশেষ নিয়ে ১৯৭১ সালে জয়পুরহাট মহকুমা ও পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে জয়পুরহাট জেলা গঠিত হয় । ১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলা পরিষদ হতে পৃথক হয়ে জয়পুরহাট জেলা পরিষদের কার্যক্রম শুরম্ন হয়। জয়পুরহাট জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিঃ মিঃ দূরে পাহাড়পুরে (সোমপুর বিহার) পাল বংশীয় রাজা জয়পালের রাজধানী ছিল। খঞ্জনপুর হতে ২ কিঃ মিঃ পশ্চিমে রাজা জয়পালের রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ আছে। সেই পাল বংশীয় রাজা জয়পালের নামানুসারে জয়পুরহাট-এর নামকরণ হয়। এ জেলার উত্তরে দিনাজপুর জেলা, পূর্বে বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলা, দক্ষিণে নওগঁা ও বগুড়া জেলা এবং পশ্চিমে নওগঁা ও ভারত। জেলার মোট আয়তন ৯৬৫.৪৪ বঃ কিঃ মিঃ। ২৪১৭র্ - ২৫১৭র্ উত্তর অক্ষাংশ এবং  ৮৮৫৫র্ - ৮৯১৭র্  পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এ জেলার অবস্থান।

স্থানীয় সরকারের অতি প্রাচীন, গুরম্নত্বপূর্ণ ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে জেলা পরিষদ দীর্ঘদিন যাবৎ নিজস্ব অর্থায়নে স্থানীয় পর্যায়ে যোগাযোগ, শিÿা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, দারিদ্র বিমোচন, নারী উন্নয়ন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি নানাবিধ সামাজিক কাজে উলেস্নখযোগ্য অবদান রেখে চলছে।

১৯৭১ সাল হতে জয়পুরহাট বগুড়া জেলার মহকুমা হিসাবে অমত্মর্ভূক্ত থাকলেও এটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দেশ ও জাতির সকল কর্মকান্ডে নিজ নামেই সুপরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত। বৃটিশ আমলের শেষ দিকে এ এলাকা ছিল কৃষক অন্দোলনের শক্তিশালী ঘাটি। ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, আখচাষী আন্দোলনসহ সকল কর্মকা&&ন্ড এ জেলার অধিবাসীদের অবদান কারও অজানা নয়। স্থানীয় সরকারের অতি প্রাচীন, গুরম্নত্বপূর্ণ ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে জেলা পরিষদ দীর্ঘদিন যাবৎ নিজস্ব অর্থায়নে স্থানীয় পর্যায়ে যোগাযোগ, শিÿা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, দারিদ্র বিমোচন, নারী উন্নয়ন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি নানাবিধ সামাজিক কাজে উলেস্নখযোগ্য অবদান রেখে চলছে।

ধান, আলু, আখ, কলা, কচু ইত্যাদি ফসল সমৃদ্ধ এ জেলায় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি  হিন্দা মসজিদ, কড়ই কাদিরপুর বধ্যভূমিতে স্মৃতি সৌধ ,পঁাচবিবি নন্দইল গ্রামে ৭১-শহীদ আদিবাসীদের স্মরণে ভাস্কর্য, বার শিবালয় মন্দির, পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি, নিমাই শাহ মাজার (পাথর ঘাটা), নান্দাইল দীঘি, আছরাঙা দীঘি ইত্যাদি কীর্তি গর্বিত ও মহীয়ান করেছে জয়পুরহাটবাসীকে।